Sunday, March 9, 2014

ফেইসবুক পেইজ থেকে নিজস্ব আউটলেটে সিভি স্ট্রিট :

উদ্যোম ও নিবিড় প্রচেষ্টায় খুব বেশি পেছনে তাকাতে হয়নি। দেশে ফেইসবুকে প্রথম চামড়াজাত পণ্য বিপণনের প্রতিষ্ঠান সিভি স্ট্রিট এখন প্রতিষ্ঠিত এক উদ্যোগ। এর পেছনের তরুণ উদ্যোক্তাদের কথা জানাচ্ছেন তুহিন মাহমুদ
Kamrul Hasan Emon-TechShohorকুমিল্লার ছেলে কামরুল হাসান ইমন ২০১২ সালে ইউনাইটেড ইন্ট্যারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করেন। অন্যসব উদ্যোক্তার মতো চাকরির পরিবর্তে এগিয়ে নিতে চাইলেন নিজের উদ্যোগকে। পরিবারের বাধা ডিঙ্গিয়ে পুরোদমে নেমে পড়লেন কাজে। উদ্যোম ও পরিশ্রমের মাধ্যমে এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও পণ্য রফতানি করছে তরুণ এ উদ্যোক্তার ফেইসবুকভিত্তিক উদ্যোগ সিভি স্ট্রিট।
শুরুটা হয়েছিল ২০১১ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সেই সময়টাতে শুরু করেছিলেন ফেইসবুকভিত্তিক উদ্যোগ সিভি স্ট্রিট। সঙ্গে ছিলেন মইনুল হাসান টিটু। দু’জনে মিলে শুরু করেন অনলাইনে লেদার পণ্য বিক্রির এ উদ্যোগ। সময়ের পরিক্রমায় ফেইসবুক ছাড়িয়ে একটি আউটলেটও গড়ে তুলেছেন তরুণ এ দুই উদ্যোক্তা। সিভি স্ট্রিটের পণ্য রফতানি হচ্ছে বিদেশে। সামনে রয়েছে অপার স্বপ্ন।
পরিকল্পনা
ছোটবেলা থেকে ইমনের ইচ্ছা ছিলো ব্যবসা করার। একই সঙ্গে ফ্যাশন নিয়েও অনেক আগ্রহ ছিল তার। অবশেষে ২০১১ সালে ইন্টারনেটের ঘাটাঘাটি করতে করতে গিয়ে এ বিষয়ে একটি আইডিয়া পান। দেখলেন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে ভিন্নভাবে ব্যবসা করার সুযোগ রয়েছে। ফেইসবুক ও ইন্টারনেটভিত্তিক বাণিজ্য তথা ই-বাণিজ্য তখনও ততটা জনপ্রিয় হয়ন। তবে এটি যে সম্ভাবনাময় সেটি বুঝেছিলেন। একটি সামগ্রিক ফ্যাশন হাউজ গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে কাজ শুরু করলেন।
সিভি স্ট্রিটের পথচলা
বিনিয়োগের জন্য মূলধন কম থাকায় একা শুরু করা ইমনের জন্য ছিল কষ্টকর। তাই স্বপ্নের ব্যবসাকে বাস্তবে রুপ দিতে ব্যবসায়িক অংশীদার খোঁজা শুরু করলেন তিনি। সে সময় এগিয়ে এলেন টিটু। দু’জনে মিলে ২০১১ সালের শুরুর দিকে নানা পরিকল্পনা করেন। বিনিয়োগ কম হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিলেন চামড়ার পণ্য নিয়ে কাজ শুরুর। পেয়েও গেলেন একটা ভালো মানের কারখানার খোঁজ পান।
Civvy Street banner
মূলধন কম থাকায় পরিকল্পনা মতো ফেইসবুকের মাধ্যমেই শুরু করলেন ব্যবসা। ‘সিভি স্ট্রিট বিডি’ নামে একটি ফেইসবুক পেইজ খুলে বিক্রির পাশাপাশি একটি খুচরা পণ্য বিক্রির দোকানে (রিটেইল স্টোরে) পণ্য সরবরাহ শুরু করলেন।
ধীরে ধীরে আরও কিছু রিটেইল স্টোরে পণ্য সরবরাহের কাজ পান তারা। ওই বছরের শেষের দিকে ই-কমার্স সাইট এখনই ডটকমের সঙ্গেও পণ্য সরবরাহের চুক্তি করে সিভি স্ট্রিট। ক্রমে বাড়তে থাকে বিক্রি, মূলধনও জোগাড় হতে থাকে। এগিয়ে যায় পথচলা।
মূলধনের অভাবে প্রথমে লেদার পণ্য দিয়ে শুরু হলেও পরে শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, প্যান্টসহ নানা ধরণের পণ্য যুক্ত হয়েছে সিভি স্ট্রিটের তালিকায়।
Civvy Street-3-TechShohor
ডিজাইন নকল প্রধান সমস্যা
চাকরির পরিবর্তে ব্যবসায় নামায় প্রথম থেকে পারিবারিক বিরোধিতার মধ্যে পড়তে হয়েছে পরিবারের ছোট ছেলে ইমনকে। তবে সফলতা আসায় এখন কিছুটা নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছেন অভিভাবকরা। বন্ধুদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেলেও অনেকেই নিরাশার কথা শুনিয়েছে। তবে সবসময় আশা জাগিয়েছেন ক্রেতারা।
Civvy Street-TechShohor
ক্রেতাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কারণে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তবে কিছু ই-কমার্স সাইট ও ফেইসবুক পেইজ সিভি স্ট্রিটের হুবহু অনুকরণ করছে। স্লোগান ও পেইজে পণ্যের একই রকম বিবরণ দেওয়ায় ক্রেতারা বিভ্রান্তিতে পড়ছেন বলে অভিযোগ ইমনের। তার মতে সিভি স্ট্রিট দেশে প্রথম লেদার পণ্যের অনলাইন বিপণন শুরু করে। তাই অনেকেই এটির ডিজাইন নকল করছে। ফলে প্রতিনিয়ত ডিজাইন পরিবর্তন করতে হচ্ছে। তবে বিষয়টিকে অনেকটা ইতিবাচক হিসেবেও দেখছেন তিনি। কারণ এর মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে যে সিভি স্ট্রিটের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
হয়েছে নিজস্ব শো-রুম
দেশের ই-কমার্স সাইট, রিটেইল স্টোরে পণ্য সরবরাহ করা ছাড়াও সিভি স্ট্রিটের বেশ কিছু পণ্য দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে। গত বছরের এপ্রিলে রাজধানীর ধানমণ্ডির জিগাতলাতে নিজস্ব শো-রুম চালু হয়েছে।
প্রচারণা
প্রচারনার ক্ষেত্রে ফেইসবুক বিজ্ঞাপনকেই বেশি প্রাধান্য দেন ইমন। পাশাপাশি লিফলেটের মাধ্যমেও প্রচার কাজ চলে। শুরুতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কারণে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিনে ভালো কাভারেজ পেয়েছে সিভি স্ট্রিট। এটি প্রচারের ক্ষেত্রে বেশ ভূমিকা রেখেছে বলে জানা তিনি।
Kamrul Hasan Emon-Young Enterpreneurs award-TechShohor
দেশের বাইরে আউটলেট খোলার পরিকল্পনা
আগামীতে সিভি স্ট্রিটকে আরও সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দেশের বড় শহরগুলোতে পর্যায়ক্রমে আউটলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। চলতে বছরে ঢাকায় আরও দুইটি আউটলেট খোলার জন্য কাজ করছে সিভি স্ট্রিট। আর দেশের বাজারে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের বাহিরেও আউটলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এ কারণে পণ্যের গুনগত মান ও ফ্যাশন ঠিক রেখে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
নতুন উদ্যোগ শুরু করতে পরিকল্পনাই হলো বড় বিষয়। পরিকল্পনা সঠিক হলে অর্থের সমস্যাটাকে বড় করে দেখার কিছু নেই। সব চেয়ে বড় বিষয় হলো- এখনও অনলাইন মার্কেট অনেক ছোট, সেই হিসেবে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। তাই অনলাইনে কোনো পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে অবশ্যই মান এবং সেবার ব্যাপারটি মাথার রাখতে হবে। মার্কেট ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে ব্যবসায় নামার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
যোগাযোগ
সিভি স্ট্রিট
আউটলেট : ২১/১, হক ম্যানশন (প্রথম তলা)
জিগাতলা বাস স্ট্যান্ড
ধানমণ্ডি, ঢাকা-১২০৯
ফোন : +৮৮০১৭১৭০৩২৪২৬, +৮৮০১৬৭০৯৮০৫০৯
ইমেইল : info@civvystreetbd.com
ফেইসবুক ফ্যান পেইজ : facebook.com/civvystreetbd

Collected From : techshohor.com

Saturday, February 8, 2014

" টেকনো থিঙ্কস উদ্যোক্তা ইন্টারভিউ – মাশরুর হোসাইন সুহৃদ (ইরর ল্যাব) "

ছাত্রজীবনেই উদ্যোক্তা হয়েছেন এবং সফল হয়েছেন এরকম উদ্যোক্তা দের মধ্যে একজন হচ্ছেন মাশরুর হোসাইন সুহৃদ। তিনি ইরর ল্যাব নামের একটি রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের চিফ অব এক্সপার্ট অপারেশেনস হিসেবে কাজ করছেন। আমাদের আজকের উদ্যোক্তা ইন্টারভিউ তে জানবো মাশরুর হোসাইন সুহৃদ এবং তার প্রতিষ্ঠান ইরর ল্যাব এর আদ্যোপান্ত।
my office1

টেকনো থিঙ্কস :  নিজেদের সম্পর্কে কিছু বলুন-
মাশরুর হোসাইন সুহৃদ : স্বপ্ন দেখার শুরু থেকে এই পর্যন্ত ইরর ল্যাবের সাথে আছি আমি মাশরুর হোসাইন সুহৃদ। ইরর ল্যাবের এক্সপার্ট অপারেশন ডিপার্টমেন্টগুলোর সার্বিক তত্বাবধান করছি। অ্যাডমিন সেক্টরের দায়িত্ত্বে আছে আরাফাত রহমান। এছাড়াও বিভিন্ন এক্সপার্ট অপারেশনস ডিপার্টমেন্টে দায়িত্বপালন করছে রাফি সিফাত পলল, মোফাসসির হোসেইন ভুইয়া, আবু সাইদ চৌধুরী আবির, মোঃ জাহিদ হাসান, মোহাম্মাদ আলি নিপুন, সাদমান ইশরাক সিদ্দিকি, রুবাব আহমেদ, তাহমিদ অনিক, মুনতাশীর মাহমুদ,সাদিয়া রহমান, আনোয়ার ফয়সাল, হাসিন আরেফিন খান এবং আলমগির জলিল। ফিন্যান্সে কাজ করছে মাহমুদুল হাসান মিলন, পাবলিক রিলেশনস অ্যাডভাইসর হিসাবে ইশতিয়াক আহমেদ তুরাশ এবং এক্সিউটিভ হিসাবে আছে মুনিয়া নাজনিন। এরা সবাই-ই আমাদের এই স্বপ্নিল পথযাত্রার সহযাত্রী।
টেকনো থিঙ্কস : কিভাবে এই উদ্যোগ নিতে আগ্রহী হলেন?
মাশরুর হোসাইন সুহৃদ : মূলত ফার্স্ট ইয়ারে থাকতে পেনসেলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির গ্র্যাস্প ল্যাব থেকেই এমন একটা উদ্যোগের চিন্তা মাথায় আসে । এরপর একটু একটু করে নিজের ক্যালিবার আপগ্রেড করা, তাত্বিক জ্ঞানকে ব্যবহারিক জগতে কাজে লাগানোর চেষ্টা, এবং সর্বোপরি প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে নিজেদের মতো করে কিছু একটা করার স্পৃহাই এই উদ্যোগ নিতে সাহস জুগিয়েছে।
টেকনো থিঙ্কস : শুরুটা কিভাবে করলেন?
মাশরুর হোসাইন সুহৃদ : গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই আমি বুঝতে পারলাম এইবার সময় এসেছে আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবার। ভার্সিটি জীবনে ইঞ্জিনিয়ার্স আড্ডা, এসাব এবং নানা মুখী অ্যাক্টিভিটির সুবাদে সিএসই এবং ইইই ডিপার্টমেন্টের যেসব সতীর্থ এবং অনুজদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাদের মাঝ থেকে কয়েকজনকে আমরা বেছে নেই। তারপর শুরু হয় আমাদের প্ল্যানিং। কিছু চড়াই উতড়াই এর পর ২০১৪ এর জানুয়ারির ১০ তারিখে আনুষ্ঠানিক ভাবে আমাদের প্রতিষ্ঠান ইরর ল্যাব আত্মপ্রকাশ করে ।
টেকনো থিঙ্কস : কোনো প্রতিবন্ধকতা এসেছে কিনা?
মাশরুর হোসাইন সুহৃদ :  হ্যাঁ কিছু সমস্যা আমাদের সবারই কমবেশি ছিল। তবে সেগুলো পেরিয়ে আসার অদম্য স্পৃহা আর মনোবলের জোরে শেষ পর্যন্ত এরর ল্যাব তার যাত্রা শুরু করেছে- এটাই বড় পাওয়া ।
টেকনো থিঙ্কস : কিভাবে এগিয়ে গেলেন?
মাশরুর হোসাইন সুহৃদ : মাঝে মাঝে মনে হয়েছে হাল ছেড়ে দেই – কী হবে এইসব করে? পরক্ষনেই নিজেকে বুঝিয়েছি স্বপ্নের সাথে আপস করা উচিত নয়। অনুপ্রেরণার জন্য পরিবারের মানুষগুলো এবং খুব কাছের কিছু বন্ধু ও স্নেহাশীষ অনুজদের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। ডিপার্টমেন্টের ফ্যাকাল্টিদের অনেকের উৎসাহও ছিল।
1781401_812128638800573_392140543_n
টেকনো থিঙ্কস : বর্তমান অবস্থা কি? সফলতা-ব্যার্থতা।
মাশরুর হোসাইন সুহৃদ :  এরর ল্যাব এর জন্ম হল মাত্র। সাফল্য – ব্যর্থতার যাচাই এই মুহূর্তে করাটা সমীচীন হবে না। তবে আমরা এইটুকু বলতে পারি যে আমরা এখনো আমাদের পরিকল্পনা মাফিক আগাচ্ছি – অন্তত মানুষজনদের ফিডব্যাক সেই দিকেই ইঙ্গিত করে। দেশের প্রথম এলিট ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট & কনসালটেন্সি ফার্ম হিসাবে যাত্রাটা শুরু করে সেটা আরও দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই এখনকার মূল লক্ষ্য।
টেকনো থিঙ্কস : প্রচারণার ক্ষেত্রে কি করছেন?
মাশরুর হোসাইন সুহৃদ :  আমাদের ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপাতত প্রচারণা চালানো হচ্ছে । ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছে আমাদেরই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট টিম । ফ্যান পেইজ পরিচালনা করছে পাবলিক রিলেশন্স ডিপার্টমেন্ট। 
টেকনো থিঙ্কস : আগামীতে পরিকল্পনা কি?
মাশরুর হোসাইন সুহৃদ : সরকারি ভার্সিটি গুলোর এলামনাই সংখ্যা বিশাল , এটা কর্মক্ষেত্রে সরকারি শিক্ষাপ্রতিস্থান থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য একটা বাই ডিফল্ট প্লাস পয়েন্ট। আমরা চাচ্ছি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলার গ্রাজুয়েট দের জন্যও এরকম কিছু একটা হোক। পাশাপাশি নিজের মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে তারা কিছু করার একটা প্ল্যাটফর্ম পাক। একজন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট কেন টিউশানি করে নিজের মুল্যবান মেধা ও সময় ক্ষয় করবে ? বরং, তাদের জন্যে এমন একটা প্ল্যাটফর্ম করা দরকার, যেখানে তারা নিজেদের পছন্দের বিষয়টায় দক্ষতা অর্জন ও নতুন কিছু উদ্ভাবনের পাশাপাশি কিছু আয়ও করতে পারবে।
প্রফেশন্যালদের জন্যে একটা কাজের ক্ষেত্র উন্মোচনের পাশাপাশি আগামি-প্রজন্মের প্রফেশন্যালসদের জন্যে তেমনি একটা কিছু করার ইচ্ছা আছে।
আমাদের দেশে ইউনিভার্সিটিগুলোতে অনেক প্রোজেক্ট হয়, কিন্তু সেগুলো কখনো প্রোডাক্টে পরিণত হয়না। আমরা ইনোভেটিভ প্রোজেক্ট আইডিয়াগুলোকে প্রোডাক্টে কনভার্ট করতে চাই।
স্কুল কলেজের অনেক শিশু কিশোর ইলেক্ট্রনিক্স, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যানিমেশন কিম্বা অ্যাপ্স নিয়ে কাজে আগ্রহী থাকে। ওরাই তো আমাদের ভবিষ্যৎ, ওদের এখন থেকেই গড়ে নেয়ার দায়িত্বটাও আমাদেরই। তাই তাদের জন্যেও বাংলায় কিছু রিসোর্স তৈরি করছি।
টেকনো থিঙ্কস : ভবিষৎএ আপনার ও আপনার প্রতিষ্ঠানকে কোন অবস্থানে দেখতে চান?
মাশরুর হোসাইন সুহৃদ :  দেশের প্রথম সারির ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম গুলার কাতারে এরর ল্যাব এর নাম উচ্চারিত হোক এটাই আমাদের কাম্য।
টেকনো থিঙ্কস : নতুন যারা এই ব্যবসায় আসতে চান তাদের কি করা উচিত?
মাশরুর হোসাইন সুহৃদ :  নিজের উপর সবসময় বিশ্বাস রাখুন। নানা বাধা বিপত্তি আসবে, চ্যালেঞ্জ আসবে, মানুষজনের কথা শুনতে হতে পারে – কিন্ত আশা হারানো একেবারেই চলবে না । কে কি বলল কিম্বা কে কতোদূর গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়লো- সেটা কোন উদাহরণ হতে পারেনা। শত ব্যর্থতার মাঝেও স্বপ্ন দেখতে জানতে হবে। ব্যর্থতার সাথে আপোষ করে মানুষ আসলে টিকে থাকে, কিন্তু বাঁচে না। আপনাদের বাঁচার চেষ্টা করতে হবে- শক্ত ভাবে, দৃঢ়তার সাথে !

Friday, February 7, 2014

" শুরুর হতাশা কাটিয়ে ই-কমার্সে প্রথম কাতারে আমার গ্যাজেট "

সবেমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়েছেন সাইফুল ইসলাম। তবে এরই মধ্যে উদ্যোক্তা হিসাবে বেশ সুনাম কামিয়েছেন ই-কমার্স সেবায়। অনলাইনে ফেরি করছেন গ্যাজেট। অথচ এ উদ্যোমী তরুনের শুরুটা ছিল হতাশার। জানাচ্ছেন তুহিন মাহমুদ
ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সম্প্রতি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে বিএসসি শেষ করেছেন সাইফুল। পড়ালেখার পাশাপাশি এতদিন AmarGadget.com নিয়ে কাজ করেছেন। এখন এ উদ্যোগকে নিজের পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে চান তার গ্যাজেট সেবা কার্যক্রম।
আমার গ্যাজেটের নেপথ্যে
অন্য সকল উদ্যোক্তার মতো ছোটবেলা থেকে সাইফুলও ভাবতেন স্বাধীনভাবে কিছু করার। চাকুরির পরিবর্তে নিজের মতো করে কিছুর স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠেছেন। ভাবতেন ব্যবসার মাধ্যমে মানুষকে বেশি সেবা দেওয়া যাবে। তাই পড়ালেখার পাশাপাশি নিজের ক্যারিয়ার গড়তে ব্যবসাকে সহজ মনে করে এগুতে শুরু করেন তিনি।

Amargadget-saiful islam-TechShohor
শুরুর কথা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় থেকে ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে ভাবতেন সাইফুল। পড়াশোনার অবসরে ব্লগ পড়ে সময় কাটাতেন। একদিন সামহোয়্যার ইন ব্লগে বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনীর হাসানের একটি লেখা পড়ে ‘চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব’ গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হন। এতে উদ্যোক্তা সম্পর্কিত অনেক পোস্ট, আইডিয়া ও মতামত দেখতে থাকেন। ওই গ্রুপের একটি কর্মশালায় অংশ নিয়ে অনুপ্রাণিত হন। কর্মশালার দিনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন গ্যাজেট বিক্রির এ উদ্যোগ শুরুর।

বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজীব নামের একজনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ধার নিয়ে AmarGadget.com নামে ফেইসবুক পেইজ খুলে শুরু করেন সাইফুল। পরিকল্পনা করেন মূলত ইউনিক গ্যাজেট ও গিফট হোম ডেলিভারিসহ বিক্রি করার।
প্রথম দিকে ছিল হতাশা
শুরুতে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল সাইফুলের বড় প্রতিবন্ধকতা। ই-কমার্সের পরিসর কম হওয়ায় প্রথম দিকে সাড়া ছিল যেমন কম, তেমনি পণ্য ডেলিভারি নিয়েও ঝামেলা ছিল। পরে একটি কুরিয়ার সার্ভিসের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ডেলিভারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।

amargadget-TechShohor
তরুন এ উদ্যোক্তা বলেন, পণ্য সংগ্রহে প্রথম দিকে বড় ব্যবসায়ীরা পাত্তা দিতেন না। অনেক সময় এত কম পণ্য বিক্রি করা হয় না বলে শো রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন কেউ কেউ। তবে এতে হতাশ না হয়ে পরিশ্রম ও অনলাইনে প্রচারণায় আস্তে আস্তে সাড়া পেতে থাকেন।
এরপর আর পিছন ফিরে তাকানো নয়। অন্য বিক্রেতারাও পণ্য বিক্রির জন্য যোগাযোগ করতে থাকেন। এমন দেখা গেছে অনেক বিক্রেতা যা ২ বছর ধরে বিক্রি করতে পারেননি, তা আমার গ্যাজেটে বিক্রি শুরুর পর থেকে তাদের স্টক খালি হয়ে যায়। এক সময় কিছু আমদানীকারক তাদের পণ্য মার্কেটিং ও বিক্রিরও প্রস্তাব দিয়েছেন।
যেভাবে এগিয়ে চলা
দেশে ই-কমার্স এখনও সেভাবে পরিচিতি পায়নি। অনলাইনে কেনাকাটা এখনও সাবলীল হয়নি। কার্ডে কেনাকাটার ক্ষেত্রেও খুব ভালো নিরাপত্তা নেই জানিয়ে সাইফুল বলেন, কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর সেবার মানও খুব উন্নত নয়। এসব সমস্যার মধ্যেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ক্রেতাদের ভালো মানের পণ্য, গ্রাহক সেবা দেওয়ার মাধ্যমে সন্তুষ্ঠি অর্জনের চেষ্টা তার।

Amargadget at uddokta hat-TechShohor
বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে আমার গ্যাজেটের টিম মেম্বার ৩ জন। একটি ওয়্যারহাউজ আছে, যেখানে পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থাও আছে। শিগগির নতুন ওয়েবসাইট চালু করার কথা জানান সাইফুল। ভালো সেবা দেওয়ায় পুরাতন ক্রেতাদের বেশিরভাগ নতুন পণ্য কিনতে আমার গ্যাজেটে আবার আসেন বলে তিনি জানান।

প্রচারণায় অনলাইনকে প্রাধান্য
ই-কমার্স সাইট হওয়ায় আমার গ্যাজেটের মূল প্রচারণা চলে অনলাইনে। বিভিন্ন ইভেন্টেও অংশ নেন তারা। কিছু দিন আগে উদ্যোক্তা হাটে অংশ নিয়ে ভালো সাড়া পেয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ইভেন্টে পৃষ্ঠপোষকতাও করে প্রতিষ্ঠানটি। এভাবেই একটি বড় গ্রাহক শ্রেণী তৈরি হয়েছে বলে জানান সাইফুল।

আগামীর পরিকল্পনা
নতুন ওয়েবসাইটে গ্রাহকদের জন্য আরও অনেক সুযোগ সুবিধা থাকবে। বাড়ানো হবে পণ্যের সংখ্যা, থাকবে আরও বেশি গিফট এবং প্রাইজ। বর্তমানে প্রতি মাসে একজনকে কাস্টমার অব দ্যা মান্থ এবং ফ্যান অব দ্যা মান্থ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। এটা আরও বাড়ানোর ইচ্ছার কথা জানান জানান সাইফুল। দেশব্যাপী আমার গ্যাজেটের সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে উল্লেখ করে তিনি এটিকে এশিয়ার প্রথম সারির ই-কমার্স সাইটে পরিণত করতে চান।

এটি শুধু স্বপ্ন নয় বলে মনে করেন তরুন এ উদ্যোক্তা। তার মতে হাতে ভালো বাজেট থাকলে এটা খুব কঠিন কিছু নয়। কেননা দেশের বাজার এখন বাড়ছে।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
নিজের পছন্দকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন সাইফুল। তার মতে যে বিষয়টি নিয়ে আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতে পারবেন সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। আপনি কি করতে চান সে বিষয়েও ধারণা থাকা উচিত। আর ধৈর্য্য থাকতে হবে- নইলে ব্যবসায় টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে যাবে।

সাইফুল বলেন, একই সঙ্গে ক্রেতাদের মানসিকতা বুঝতে হবে। ফোকাস যত ছোট হবে, তত তাড়াতাড়ি পরিচিতি পেয়ে যাবেন। আর সবচেয়ে বড় কথা নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। হাল ছাড়লে চলবে না।

Source : http://techshohor.com/business/5381

" ই-কমার্সে স্বাবলম্বী হওয়ার দৃষ্টান্ত আপনপ্লাস "

ফেইসবুক ব্যবহার করে উদ্যোক্তায় পরিণত হওয়ার আরেক উদাহরণ আপনপ্লাস। জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমটির ফ্যান পেইজ দিয়ে শুরু ই-কমার্স বাণিজ্য। আর এখন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বেশ সফলভাবে সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। জানাচ্ছেন তুহিন মাহমুদ
ঢাকায় ই-কমার্স বাণিজ্য প্রসারের পেছনে রয়েছে কিছু উদ্যোমী এবং চ্যালেঞ্জ প্রিয় কিছু তরুণের অবদান। তেমনি এক উদ্যোগের সফল প্রয়াস আপনপ্লাস। তরুণ উদ্যোক্তা ওমর ফারুকের নিরলস প্রচেষ্টায় জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে অনলাইনে ক্রেতাবেচার এ হাটটি। পুরোপুরি অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগ আপনপ্লাস পণ্য বিক্রির পাশাপাশি রাজধানীতে তা বিনামূল্যে সরবরাহও করছে।
Omar faruk aponplus-TechShohor
আপনপ্লাসডটকমে রয়েছে বিভিন্ন গিফট আইটেম, ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট, হেলথ ও বিউটি অ্যাক্সেসরিজ, ফ্যাশন পণ্য, পোশাক, ঘর-গৃহস্থলির পণ্য।
শুরুর গল্প
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম নিয়ে পড়াশোনা করছেন ওমর ফারুক। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের ব্যয় মেটাতে কিছু উপাজর্নের চেষ্টা করছিলেন। কয়েক জায়গায় পার্ট-টাইম চাকরির জন্য ধর্ণাও দেন। তবে আশানুরুপ কোনো চাকরি মেলেনি।

পড়াশোনা ও চাকরি খোঁজার মধ্য দিয়ে দিন কাটছিল ওমর ফারুকের। এরই মাঝে অলস এক দুপুরে ফেইসবুকভিত্তিক গ্রুপ ‘চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব’-তে অনেক উদ্যাগের গল্প পড়ে নিজে থেকে কিছু করার আইডিয়া মাথায় ঢুকে গেল। সঙ্গে যোগ হয় পছন্দমত চাকরি না পাওয়ার হতাশা। এভাবেই শুরু হলো এখন বেশ জনপ্রিয়তা পাওয়া ই-কমার্স সাইট আপনপ্লাসডটকমের।
অনুপ্রেরণা
ফেইসবুকের কল্যাণে বেশ আগে থেকে যুক্ত ছিলেন ‘চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব’ গ্রুপের সঙ্গে। নতুন কিছু করার উৎসাহ পেলেন সেখান থেকে। আস্তে আস্তে পরিকল্পনা সাজাতে থাকেন নতুন কিছু করার। একদিন অনেকটা হঠাৎ করেই ফেইসবুকে ফ্যাশন দুনিয়া (https://www.facebook.com/Fashion.Duniya) নামে একটি ফ্যান পেইজ খোলেন ওমর ফারুক। পরীক্ষামূলকভাবে তা চালুর সঙ্গে সঙ্গে কিছু টাকা সংগ্রহ করে ব্যতিক্রমী, অভিনব, ফ্যাশেনেবল এবং ভাল মানের পণ্য সংগ্রহ করলেন।

Aponplus banner-TechShohor
এগিয়ে চলা
ফ্যান পেইজের মাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের সঙ্গে চলতে থাকে পণ্যের প্রচারণা। প্রথম দিকে বেশ কিছুদিন সাড়া না পেলেও থেমে থাকেনি ওমর ফারুকের প্রচারণা। আস্তে আস্তে সাড়া পেতে থাকলেন তিনি। দেখা গেল, বেশ কিছুদিনের মধ্যে পণ্যগুলো বিক্রি হয়ে গেল। মনের মধ্যে অন্য রকম একটা আনন্দ ও সাহস পেলেন তিনি। এরপর আরও পণ্য সংগ্রহ করতে লাগলেন। শুরু হলো এক সফল উদ্যোগের পথচলা।

কাজ করতে গিয়ে দেখলেন ভালোভাবে ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে অনেক সময় ও বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি তার একার পক্ষে এটি ভালোভাবে টিকিয়ে রাখা মুশকিল। মূলধনও একটি বড় বিষয়। যা তার একার পক্ষে পুরোপুরি সম্ভব নয়। তাই রাহাত হোসেন নামে এক বড় ভাইকে প্রস্তাব দিলেন একসঙ্গে কাজ করার। সানন্দে রাজিও হলেন তিনি। এভাবে শুরু হলো দুই তরুণ উদ্যোক্তার পথচলা।
প্রধান প্রতিবন্ধকতা : যথাসময়ে পণ্য ডেলিভারি
দেশীয় প্রেক্ষাপটে অনলাইন কেনাকাটার এ ব্যবসা চালাতে গিয়ে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে আপনপ্লাসের উদ্যোক্তাদের। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, সময় মতো পণ্য ডেলিভারি দেওয়া। দেখা যায়, সঠিক সময়ে পণ্যটি ডেলিভারি ম্যানের কাছে দিয়ে আসলেও তিনি গ্রাহকের কাছে তা পৌঁছে দিতে দেরি করছেন। বিশেষ করে ঢাকার বাইরের অর্ডারগুলোর ক্ষেত্রে এমনটা হয়। আর একারণে অনেকে গ্রাহক অসন্তুষ্ট হন।

নিজেদের একটা ওয়েবসাইট
প্রথম থেকে গ্রাহকদের চাহিদাকে বেশি প্রাধান্য দিতেন ফারুক ও রাহাত। তারা বোঝার চেষ্টা করতেন, গ্রাহকদের চাহিদা- কোন ধরণের পণ্য তারা বেশি পছন্দ করে। গ্রাহকদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে পণ্য সংগ্রহ করতেন তারা। পুরোপুরি ই-কমার্স বাণিজ্য চালু করতে ফেইসবুক ফ্যান পেইজের সঙ্গে একটা ওয়েবসাইটও চালু করেন তারা। এখন ফ্যান পেইজ ও ওয়েবসাইট দুটির মাধ্যমে গ্রাহক সেবা দিচ্ছেন তারা।

Aponplus website-TechShohor
রাজধানীতে বিনামূল্যে পণ্য ডেলিভারি
রাজধানী ঢাকার মধ্যে কেউ পণ্য কিনতে চাইলে তা পৌঁছে দেওয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছে আপনপ্লাস। বিনামূল্যে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পণ্য সরবরাহ করছে তারা। গ্রাহক সন্তুষ্টি আদায়ে একই সঙ্গে নিয়মিত বিভিন্ন সময় সারপ্রাইজ গিফটও পাঠানো হয়।

প্রচারণা
প্রচারণার জন্য ভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন ফারুক ও রাহাত। গতানুগতিক বিজ্ঞাপনের বাইরে ফেইসবুককেন্দ্রিক প্রচারণার দিকে ঝোঁক তাদের। এ ছাড়া পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমেও নিজেদের প্রচার করছেন তারা। কিছুদিন আগে ‘চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব’ গ্রুপ আয়োজিত ‘উদ্যোক্তা হাট’ মেলায় সিলভার স্পন্সর ছিল আপনপ্লাস। এ ছাড়া‘মুভি লাভারজ্’ নামে একটি ফেইসবুক গ্রুপের টেকনিক্যাল পার্টনার ও স্পন্সর হিসাবে কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

Aponplus at uddoktahut_TechShohor
নিজস্ব শোরুমের স্বপ্ন
শুধু ফেইসবুক কিংবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে চায় না ফারুক ও রাহাত। অনলাইনের বাইরেও একটি স্থায়ী ঠিকানা গড়তে চান তারা। আগামীতে একটি শোরুম দেওয়ার স্বপ্ন তাদের। দুই তরুণ উদ্যোক্তা গ্রাহকদের চাহিদা অনুসারে ইউনিক পণ্যের সম্ভারে পরিণত করতে চান আপনপ্লাসকে।

নতুনদের জন্য পরামর্শ
ই-কমার্স ব্যবসায় নামার আগে গ্রাহকদের চাহিদা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। যারা এই ব্যবসায় দীর্ঘদিন ধরে আছে তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সম্ভব হলে তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে প্রয়োজনীয় তথ্য, বাজার পরিস্থিতিসহ বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। প্রচণ্ড পরিমানে মার্কেট রিসার্চ করতে হবে ও সামাজিক যোগাযোগ সাইটে সক্রিয় থাকতে হবে।

যোগাযোগ
আপনপ্লাস
ফেসবুক পেজ : https://www.facebook.com/AponPlus
ওয়েবসাইট : http://www.aponplus.com

Source : http://techshohor.com/business/5937

" দেশজুড়ে ওয়েব সেবা দেওয়ার স্বপ্ন এবিএইচ ওয়ার্ল্ডের "

অনলাইন প্রচারণার ওপর ভর করে ক্ষুদ্র পরিসর থেকে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে নাম কামিয়েছে এবিএইচ ওয়ার্ল্ড। সঙ্গে সেবার উন্নতি ওয়েবভিত্তিক ব্যবসায় পরিচিতি দিয়েছে দেশজুড়ে। এ উদ্যোগের পেছনের কথা জানাচ্ছেন তুহিন মাহমুদ
রাজধানীর ধানমণ্ডি লেকের পাশে ক্যান্টিনের টুকরো পরিসর থেকে শুরু এবিএইচ ওয়ার্ল্ডের যাত্রা। ডোমেইন হোস্টিংয় দিয়ে শুরু হলেও তাতে থেমে থাকেনি এটির উদ্যোক্তারা। ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, অনলাইন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও ব্র্যান্ডেড এসএমএস সেবাও দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ডেডিটেকেট সেবা আর গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করে দেওয়ায় এবিএইচ ওয়ার্ল্ড এখন রাজধানীর গণ্ডি পেরিয়ে বিভাগীয় শহরে ঠাই নিয়েছে। লেকের এই ছোট অফিসটি এখন দুই উদ্যোক্তা খালিদ ও ফয়সালের এক সুখ স্মৃতি।
abh world logo-TechShohor
যশোরের ছেলে খালিদ সাইফুল্লাহ ও আবু হুরায়রা ফয়সাল। কলেজের গন্ডি পেরিয়ে রাজধানীতে পাড়ি জমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে। শুরু হয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষা জীবন। ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনের প্রথম দিকে ফয়সাল বন্ধুকে যৌথভাবে কিছু করার প্রস্তাব দেন। সাদরে সেই প্রস্তাব লুফে নেন খালিদ। অনেক পরিকল্পনার পর ওয়েবভিত্তিক কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। সাদামাটা এ উদ্যোগই এখন ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে।
শুরুর গল্প
কিছুদিন পরিকল্পনার পর অবশেষে ওয়েবভিত্তিক কিছু করার সিদ্ধান্তে পৌঁছান তারা। প্রাথমিকভাবে ওয়েবসাইট ডোমেইন ও হোস্টিং সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ধানমণ্ডি ৫ লম্বর লেকের ক্যান্টিনে অস্থায়ী অফিস নিয়ে প্রতিষ্ঠানের নাম দেন ‘এবিএইচ ওয়ার্ল্ড’। এ উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়ায় তাদের বন্ধু রিতু, খুশবু ও লিন্ডা।

abh world family-TechShohor
এগিয়ে যাওয়া
নিজস্ব ওয়েবসাইট, ফেইসবুক ও বন্ধুদের মাধ্যমে প্রচারণা চলতে থাকে। বিভিন্ন কর্পোরেট হাউজগুলোতেও যাতায়াত শুরু হয়। পড়াশোনার খরচ বাঁচিয়ে জমানো সামান্য কিছু পুঁজি থেকে ডোমেইন রিসেলার ও হোস্টিং কিনে সেবা দিতে থাকেন তারা। কিন্তু বড় অংকের অর্থ দিয়ে ডোমেইন রিসেলার ও হোস্টিং কেনার পর পর্যাপ্ত ক্লায়েন্ট না পাওয়ায় আর্থিক সংকট ও ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েন বারবার। কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে তখন। এরপরও থেমে থাকেননি খালিদ ও ফয়সাল। অদম্য ইচ্ছা ও মানসিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিবার তারা প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করেছেন। নতুন কাজ পেয়ে নব উদ্যোমে আবারও প্রতিষ্ঠান গড়তে মনোযোগী হয়েছেন।

বর্তমান অবস্থা
গত চার বছরে ডোমেইন হোস্টিংয়ে থেমে থাকেনি এবিএইচ ওয়ার্ল্ড। সেবার তালিকায় ডোমেইন হোস্টিংয়ে পাশাপাশি ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, অনলাইন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও ব্র্যান্ডেড এসএমএস সেবা যুক্ত হয়েছে। এ ধরণের সেবার ক্ষেত্রে দেশে একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে এবিএইচ ওয়ার্ল্ড।

ব্যবসায় সফলতার পাশাপাশি অদ্যম চেষ্টার পুরষ্কারও পেয়েছে ফয়সাল ও খালিদ। সম্প্রতি ‘চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব’ গ্রুপ থেকে উদ্যোক্তা সন্মাননা পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
abh world sonmanona-TechShohor
এখন কর্পোরেট মার্কেটে বড় বড় কোম্পানির সাথে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে একসময় অফিসই ছিল না, সেখানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাশে এখন ৮৫০ বর্গফুটের অফিস রয়েছে এবিএইচ ওয়ার্ল্ড এর। বিভাগীয় শহর খুলনাতে একটা শাখা অফিস রয়েছে। বর্তমানে সর্বমোট ১০ জনের একটা টিম কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য আরও বড় কিছু করা। সে চেষ্টা চলছে অবিরত। তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে এখন পর্যন্ত আমরা অনেকটাই সফল।’
অনলাইন প্রচারণাকেই প্রাধান্য
প্রচারণার জন্য প্রতিষ্ঠানটি বরাবর অনলাইন মাধ্যমকে বেছে নিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেইসবুক, গুগল ও অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমগুলোতে নিয়মিত প্রচারণা চালানো হয়। এ ছাড়া সরাসরি বিভিন্ন কর্পোরেট হাউজে প্রচারণার কাজ চলছে।

abh world-TechShohor
অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতে শাখার পরিকল্পনা
শুধু ঢাকা কিংবা ও খুলনা নয়, দেশের সবকটি বিভাগীয় শহরে খুব শিগগির সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন বলে জানালেন আরেক প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফয়সাল। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সেবা দিতে চান তারা।

গ্রুপ অব কোম্পানি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন
শুধু সেবা সম্প্রসারণ নয়, আগামীতে কোম্পানিকে গ্রুপ অব কোম্পানিতে উন্নীত করতে চান তারা। এরই অংশ হিসেবে ‘এবিএইচ ওয়ার্ল্ড আইটি একাডেমী’ নামে আরেকটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন তারা। এখানে ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টসহ ওয়েব ভিত্তিক বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

নতুনদের প্রতি পরামর্শ
অদম্য ইচ্ছা, সাহস ও ধৈর্য্য থাকলে ব্যবসায় সফলতা আসবে-যারা নতুনভাবে ওয়েব ব্যবসা করতে চান তাদের প্রতি খালিদের পরামর্শ।

এবিএইচ ওয়ার্ল্ড-এর যোগাযোগের ঠিকানা
প্রধান কার্যালয় : ২৪/৪/এ (চতুর্থ তলা, জিনিয়াস শপিং সেন্টার)
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা প্রধান সড়ক, ঢাকা-১২২৯
ফোন : 02-8417476, 01617224224, 01616224224
ওয়েবসাইট : http://abhworld.com
ইমেইল : info@abhworld.com
ফেইসবুক পেজ : www.facebook.com/abhworld

Source: http://techshohor.com/business/4548

" শূন্য থেকে সেরার কাতারে হোস্ট মাইট "

একক প্রচেষ্টায় দেশের ডোমেইন ও হোস্টিং ব্যবসায় প্রথম কাতারে এসেছে হোস্ট মাইট। কম্পিউটার বা তথ্যপ্রযুক্তির প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই শুধু ইন্টারনেট প্রেম থেকে একটি সফল প্রতিষ্ঠান তৈরির কথা জানাচ্ছেন তুহিন মাহমুদ
হোস্ট মাইটের শুরুটা ছিল আর দশটা উদ্যোগের মতো সাদামাটা। অন্য সব আনকোড়া উদ্যোক্তার মতো এটির রূপকার জোবায়ের আলম বিপুল শুরু করেছিলেন শূন্য হাতে। ছোট ছোট পদক্ষেপে পার হয়েছেন এক একেকটি পর্যায়। নানা প্রতিকূলতা ও বিপত্তি ডিঙ্গিয়ে পৌঁছেছেন আজকের অবস্থানে।
photo 1
কলেজ জীবনে একটি ওয়েবসাইট তৈরির মাধ্যমে যে স্বপ্নযাত্রা শুরু করেছিলেন তা এখন পরিণত হয়েছে একটি প্রতিষ্ঠানে। এখনও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি না টানলেও তরুন এ উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠানটি উঠে এসেছে দেশের ডোমেইন ও হোস্টিং জগতের শীর্ষ তালিকায়। পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজও করছেন সফলভাবে।
ইন্টারনেট প্রেম থেকে শুরু
ছোটবেলা থেকে ইন্টারনেটের প্রতি আলাদা একটা টান ছিল বিপুলের। টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে, অভিভাবককে ফাঁকি দিয়ে সাইবার ক্যাফেতে ঢু দিতেন নিয়মিত। একটি ওয়েবসাইট তৈরি হয় কিভাবে সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে তার মনে। এ জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের বেশিরভাগ সময় তিনি গুগলে সার্চ করে বিভিন্ন আর্টিকেল পড়তেন ও টিউটোরিয়াল দেখতেন। ডোমেইন ও হোস্টিং বিষয়গুলো সম্পর্কে তখন জানতে শুরু করেন। কম খরচে ওয়েবসাইট তৈরি এবং ডোমেইন ও হোস্টিং বিক্রির বিজ্ঞাপনও দেখতেন মনোযোগ সহকারে। স্কুল জীবনের সেই সময়ে অনেকের সাথে ফোনেও কথা বলতেন। কিন্তু টিফিনের টাকা দিয়েতো আর ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় না! তাই তখন কিছুটা হলেও দমে গিয়েছিলেন।

স্কুল জীবন শেষে ভর্তি হন কলেজে। পড়াশোনার পাশাপাশি ওয়েবসাইট তৈরির ভূত তার মাথায় তখনও রয়ে গেছে। অবশেষে পড়াশোনার খরচ বাঁচিয়ে কয়েক মাসের জমানো টাকা দিয়ে তৈরি করে ফেলেন একটি ওয়েবসাইট। এ সময় আবার নতুন করে ডোমেইন ও হোস্টিং ব্যবসা নিয়ে মনোযোগী হন। এবার তার মাথায় ঢুকে এ ব্যবসা শুরুর পোকা। শুরু করেন ফান্ড কালেকশন। যাত্রা শুরু হয় একটি নতুন অধ্যায়ের।
শুরু হলো পথচলা
অবশেষে জমানো টাকা দিয়ে ২০১০ সালে ‘ওয়ান আইটি বিডি’ নামে সীমিত আকারে ডোমেইন ও হোস্টিং ব্যবসা শুরু করেন বিপুল । শুরুটা ছিল অন্য একটি প্রতিষ্ঠান থেকে রিসেলারশিপ নিয়ে। একাগ্রতা ও ক্লায়েন্ট সাপোর্ট ভালো থাকায় গ্রাহকদের থেকে বেশ সাড়া পান। বেশ কিছু ভালো গ্রাহকের সুবাদে নিজেই এবার সার্ভার কিনে নেন। ২০১১ সালের প্রথম দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে কাজ করার লক্ষ্যে ‘হোস্ট মাইট’ নাম নিয়ে পুরোদমে ব্যবসা শুরু করেন। প্রচারণার জন্য বিভিন্ন ব্লগ এবং ওয়েবসাইটে পেইড মার্কেটিং শুরু করেন। ফলে দেশে এবং দেশের বাহিরে গ্রাহক বাড়াতে থাকে।

Black_FB-Banner
পেমেন্ট নিয়ে প্রতিবন্ধকতা
ব্যবসা এগিয়ে চললেও পেমেন্ট সিস্টেমে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। দেশে পেপ্যাল না থাকা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের সহজলভ্যতা না থাকায় প্রতি মাসে সার্ভার বিল দিতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হতো বিপুলের। তিনি জানান, ‘এই সমস্যা সমাধানে অস্টেলিয়া প্রবাসী এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার পেমেন্ট দেওয়া হয়েছে।’ অবশেষে নিজের ক্রেডিট কার্ড হওয়ায় সেই প্রতিবন্ধকতা দূর হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাড়ছে পরিসর
নিজের কাজে সম্পূর্ণ ডেডিকেটেড থাকায় পিছু হটতে হয়নি হোস্ট মাইটের। প্রথম তিন বছর অনলাইন ও হোম সার্ভিসের মাধ্যমে কার্যক্রম চালালেও চলতি বছরে ঢাকার নিকুঞ্জতে নিজস্ব অফিস নিয়েছেন বিপুল। আর সেবা দিতে দু’জন কর্মীও নিয়োগ দিয়েছেন। বর্তমানে আরও লোক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে তার বলে জানান।

অনলাইনেই প্রচারণা
ডোমেইন, হোস্টিং, ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট ব্যবসা মূলত অনলাইননির্ভর। তাই অনলাইন প্রচারণায় বেশি গুরুত্ব দেয় হোস্ট মাইট বলে জানান বিপুল। এ ক্ষেত্রে বাংলা ব্লগ সাইট, ফেইসবুক বিজ্ঞাপন, ফেইসবুক গ্রুপকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।

বিদেশেও সমুজ্জল হতে চায় হোস্ট মাইট
প্রতিষ্ঠানটিকে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে কাজ করছেন বিপুল। সেবার মান উন্নত করার পাশাপাশি দেশের বাইরের গ্রাহকদের সংখ্যা বাড়াতে কাজ করছেন তিনি। এ ছাড়া ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের কাজও শুরু করেছেন। বিদেশে সেবার পরিসর বাড়িয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে চায় হোস্ট মাইট।

নতুনদের জন্য পরামর্শ
যে কোনো ব্যবসায় সফল হতে হলে প্রয়োজন ‘ডেডিকেশন’ এবং ‘ইচ্ছা শক্তি’ এটাই মনে করেন তরুন উদ্যোক্তা বিপুল। তার মতে হোস্টিং ব্যবসায় আসতে হলে হোস্টিং সার্ভিস, ওয়েব সার্ভার সম্পর্কিত ভাল জ্ঞান থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় জিনিস হল সাপোর্ট। এবং এটা দিতে হয় ২৪ ঘন্টাই। নিজের অনুপস্থিতেও ক্লায়েন্ট সাপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এগুলো মাথায় রেখে যে কেউ হোস্টিং ব্যবসায় আসতে পারেন। তবে সহজ হবে যদি কম্পিউটার সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড পড়াশোনা এবং ভাল প্রযুক্তি জ্ঞান থাকে।

নিজের সম্পর্কে
বর্তমানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে স্নাতকে পড়াশোনা করছেন বিপুল। পাশাপাশি হোস্ট মাইটের ব্যবসায়িক কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বতো রয়েছে। স্নাতক শেষে এমবিএ করতে চান তরুন এ উদ্যোক্তা।

Source: http://techshohor.com/business/3968

" অনলাইন ডাকঘর সেবায় পথিকৃত ই-কুরিয়ার "

কয়েকটা চাকরি বদলে অবশেষে নিজেই শুরু করেছেন ব্যবসা। অনলাইনের মাধ্যমে কুরিয়ার সেবার ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়ে মাঠে নেমেছেন। শুরুর প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এগিয়ে যেতে চান ই-কুরিয়ারের উদ্যোক্তা বিপ্লব ঘোষ। জানাচ্ছেন তুহিন মাহমুদ
Biplob Ghosh Rahul-2-TechShohor
বরিশালের ছেলে বিপ্লব ঘোষ রাহুল উচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে। চাকরি করেছেন একটি মোবাইল কোম্পানির কাস্টমার সার্ভিস বিভাগে। এরপর চেষ্টা করেছেন সফটওয়্যার ব্যবসার। বন্ধুদের সঙ্গে মিলে সে উদ্যোগে সফলতা না আসায় আবার চাকুরি নেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসে (বেসিস)। আইসিটি মন্ত্রণালয়েরও কাজ করেছেন কিছুদিন। তবে তার মন পড়েছিল নিজে থেকে কিছু করার। অন্তরের ডাকে সাড়া দিয়ে আবার ঝুঁকি নিলেন নতুন কিছু করার। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে সফলতা পেয়েছেন ই-কুরিয়ারে।
অফিসের টাইমফ্রেমকে না
চাকরি করলেও বরাবর অফিসের নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমকে মানতে পারেননি বিপ্লব। তাই সবসময় ভাবতেন নিজে কিছু করার। পারিবারিক ঐতিহ্য ব্যবসা হলেও সবাই বিপ্লবকে চাকরির পরামর্শ দেন। ব্যবসার কথা বলে কখনো পরিবার থেকে সমর্থন পাননি। এরপরও অফিসের বাধা ধরা সময়ে নিজেকে বেধে না রেখে নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে পথে নামলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কাস্টমার সার্ভিসের তিন বছরের পার্টটাইম চাকরির অভিজ্ঞতা থেকে বিপ্লব ‘সার্ভিস মার্কেটিং’ ব্যবসায় নামলেন। অল্প পুঁজি নিয়ে শুরু করলেন ‘কল সেন্টার’ সার্ভিসের কাজ। পাশাপাশি অন্য সার্ভিস মার্কেটিং টুলগুলো নিয়েও কাজ করতে থাকেন।
দেশে ২০১২ সালের দিকে ই-কমার্স জনপ্রিয় হতে থাকলে বিপ্লবও এ খাতে ভিন্ন কিছু করার চিন্তা থেকে কুরিয়ার সার্ভিসকে নিয়ে আসলেন অনলাইনে। ৪/৫ মাস গবেষণা ও পরিকল্পনার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করলেন। নাম দিলেন ‘ই-কুরিয়ার’।
ecourier
শুরুটা যেভাবে
দুই বছর আগেও দেশের গ্রুপ ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো অনলাইনে সেবা নেওয়ার বিষয়ে ততটা সচেতন ছিল না। মিটিং, প্রেজেন্টেশন, প্রপোজাল পাঠানো, আইডিয়া শেয়ার করতে করতে কেটে গেল অনেকটা সময়। ধীরে ধীরে সাড়া পেতে লাগলেন। শুরুতে হাজারো প্রতিবন্ধকতা থাকলেও হতাশ হননি। উদ্যোমী এ তরুন পথ চলতে পরামর্শ নিয়েছে ‘চাকরি খুঁজবো না চাকরি দেব’ গ্রুপের উদ্যোক্তা মুনির হাসানের।
প্রথমে শুরু করেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেবা দেওয়ার। পাশাপাশি নিজেও এ ব্যাপারে ধারণা নেন দেশের বড় কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে কাজ করে তা থেকে। বড় প্রতিষ্ঠানগুলো আইটি নিয়ে বেশি ভাবে না। তাই তিনি আইটির ওপর ভিত্তি করে ই-কমার্স সেবা শুরু করেন।
প্রতিবন্ধকতা শুরু পরিবার থেকে
বিপ্লব জানান, প্রতিটি মুহূর্তে প্রতিবন্ধকতা এসেছে পরিবার থেকে। পথে নামলে যেহেতু পথ চিনা যায়- তাই মনোকষ্ট থাকলেও এ যুদ্ধ জয়ে পরিবারের বড় এ সন্তান এগিয়েছেন মনোবলকে সঙ্গী করে। সঙ্গে ছিল বিনিয়োগজনিত সমস্যা। কুরিয়ার সার্ভিসে বড় ব্র্যান্ডের বৃহৎ প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও আইটিকে প্রাধান্য দেওয়ায় সে প্রতিবন্ধকতা ততটা জটিল হয়নি।
এগিয়ে যাওয়া
দেশের ১৬ কোটি মানুষকে ই-কুরিয়ারের সেবা পৌঁছে দিতে চান বিল্পব। জানেন একদিনে তা সম্ভব না। তাই ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন। এখন শুধু ই-কমার্স কোম্পানিগুলোকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলো সমস্যার মধ্যে ডেলিভারি অনেক বড় সমস্যা। কারণ দেশের জনগন অনলাইনের মাধ্যমে বেচাকেনায় এতটা আগ্রহী হয়ে ওঠেননি। এরপরও আশার আলো দেখছেন বিপ্লব।
e-courier-2-TechShohor
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো সার্ভিসের মাধ্যমে ভোক্তাদের সেবা প্রদান করছে, যার মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারছে। আর ভোক্তাদের সেবা প্রদানের বড় একটা জায়গা হচ্ছে ডেলিভারি সার্ভিস। আর এই সুযোগটি পাচ্ছে ই-কুরিয়ার। অন্যান্য কুরিয়ারের থেকে এটি আলাদা। কারণ ই-কুরিয়ারে রিয়েল টাইম ডেলিভারি আপডেট পাওয়া যায়। যা অনলাইনের মাধ্যমে চেক করা যায়। ডেলিভারির লেনদেনের হিসাব করা, রিপোর্ট তৈরি করা ইত্যাদি অনেক সুবিধা রয়েছে। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে ‘ই-কুরিয়ার’।
একই দিনে পণ্য ডেলিভারি
আট মাস গবেষনার পর ২০১৩ সালের আগস্টে যাত্রা শুরু করা ই-কুরিয়ারের বর্তমান অবস্থা ‘ভালো’ বলেই মনে করেন এ উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, “আমি ভালোটাকে মূল্যায়ন করি কাস্টমারের ফিডব্যাকের ভিত্তিতে। সেটি আশানুরুপ বলা চলে। সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও গ্রাহক হিসাবে পাচ্ছে ই-কুরিয়ার।”
রাজধানীর সকল জায়গায় এখন সেম ডে ডেলিভারি দিচ্ছে ই-কুরিয়ার। নেক্সট ডে ডেলিভারিও দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকার বাহিরেও ‘নেক্সট ডে ডেলিভারি’ ডেলিভারি দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রাহকদের ডেডিকেটেড কাস্টমার সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রচারণা
প্রচারনার ক্ষেত্রে এ মুহূর্তে এসএমএস মার্কেটিং, কল সেন্টার টেলিমার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংকে গুরুত্ব দিচ্ছের বিপ্লব। এ ছাড়াও ওয়ান টু ওয়ান মার্কেটিং করছেন তিনি। কয়েকটা ফ্র্যাঞ্চাইজ দেওয়ায় সেগুলো নিজেরাও মার্কেটিং করছে। মার্চেন্টরাও ই-কুরিয়ারের মার্কেটিং করে দিচ্ছে।
e-courier-TechShohor
ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছাতে চায় ই-কুরিয়ার
২০১৫ সালের মার্চের মধ্যে সব জেলায় ই-কুরিয়ারের শাখা ফ্র্যাঞ্চাইজ খোলার প্রত্যাশা করেছেন বিপ্লব। তিনি আশা করছেন ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত সেবা দেওয়ার সামথ্য অর্জন করতে পারবেন। ফ্র্যাঞ্চাইজ সেবার মাধ্যমে প্রতিটি জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে উদ্যোক্তা গড়ে উঠবে বলে আশা করেন তিনি। এ ছাড়া eCourier.com.bd এর মাধ্যমে যে কেউ চাইলে লোকাল অথবা ইন্টারন্যাশনাল কুরিয়ারকে ব্যবহার করতে পারবে ডেলিভারির জন্য।
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ
যে কোনো উদ্যোগের জন্য উদ্যমী হতে হবে। বিশেষায়িত ব্যবসায় নামার আগে বাজার গবেষণা করতে হবে। মানবসম্পদ (এইচআর),ফাইনান্স ও অপারেশান বুঝতে হবে। অন্যদের অনুকরণ না করে নিজস্ব সৃষ্টিশীলতা কাজে লাগাতে হবে।
যোগাযোগ
eCourier
House# B-120, Road: 7,
Mohakhali DOHS, Dhaka
Helpline: 09612 500500 (10am-6pm) | 01819182157
Email:support@ecourier.com.bd
www.eCourier.com.bd

Source : http://techshohor.com/business/5515